নিজস্ব প্রতিবেদক: খুলনার রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ওরফে মিনা কামাল (৫২) র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) ভোরে বাগেরহাটের রামপাল থানাধীন খুলনা-মোংলা মহাসড়কের ভেকুটিমারি এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।
র্যাব-৬ এর অধিনায়ক রওশনুল ফিরোজ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে রামপালের ভেকুটিমারি এলাকায় অভিযানে যান। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর গুলি চালালে তারাও পাল্টা গুলি চালান। এক পর্যায়ে গুলিবিদ্ধ কামালকে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে পিস্তল, গুলি, ছুরি ও বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত কামালের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ২৫টি মামলা রয়েছে।
রামপাল থানার ডিউটি অফিসার এসআই আনছার উদ্দীন খান জানান, বন্দুকযুদ্ধের পর র্যাব সদস্যরা মিনা কামালকে সকাল ৬টার দিকে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরে সাড়ে ৬টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খুলনার রূপসা উপজেলার ৩ নম্বর নৈহাটি ইউনিয়নের বাগমারা গ্রামের পীর হুজুর খ্যাত মিনহাজ উদ্দিন ওরফে মিনা মৌলভির ছেলে মিনা কামাল। তিনি রূপসার নৈহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
এদিকে সাতক্ষীরা সদরের বাঁশদহ ইউনিয়নের কয়ারবিলে দু’পক্ষের ‘গোলাগুলিতে’ লিয়াকত আলী নামে একজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লিয়াকত আলী সদর উপজেলার তলুইগাছা গ্রামের মৃত মোসলেম আলী সরদারের ছেলে। তিনি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সাতক্ষীরা সদর থানায় তার বিরুদ্ধে ১০টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দীন জানান, ভোরে কয়ারবিল এলাকায় দুই পক্ষের গোলাগুলি চলছে এমন সংবাদে সদর থানার ওসি আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ।
এ সময় তার পাশে একটি রিভলবার, দুই রাউন্ড গুলি, একটি হাসুয়া, ৫০ বোতল ফেনসিডিল ও ২০০ পিস ইয়াবা পড়ে ছিল। তাৎক্ষণিক গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।